🎯 SMART Goal Setting — SMART লক্ষ্য নির্ধারণ
(সুনির্দিষ্ট, মাপযোগ্য, বাস্তবসম্মত ও সময়সীমার মধ্যে অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণের একটি কার্যকর পদ্ধতি)
🧠 What is SMART? — SMART কী?
“SMART” শব্দটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত রূপ, যা একটি লক্ষ্যকে সফলতার জন্য উপযুক্ত করে তোলে:
✅ S — Specific (নির্দিষ্ট)
লক্ষ্যটি পরিষ্কার ও নির্দিষ্ট হতে হবে।
ভুল: “আমি সফল হতে চাই।”
সঠিক: “আমি আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৫ কেজি ওজন কমাতে চাই।”
👉 প্রশ্ন করুন:
আমি ঠিক কী অর্জন করতে চাই?
কে জড়িত?
কোথায় ঘটবে?
📏 M — Measurable (পরিমাপযোগ্য)
লক্ষ্যটি কীভাবে পরিমাপ করবেন তা নির্ধারিত থাকতে হবে।
কতটুকু?
কতবার?
কোন সংখ্যায় বুঝবো আমি এগোচ্ছি?
উদাহরণ:
“আমি প্রতি সপ্তাহে ১ কেজি করে ওজন কমাব।”
🎯 A — Achievable (অর্জনযোগ্য)
লক্ষ্যটি বাস্তবসম্মত ও আপনার সক্ষমতার মধ্যে হতে হবে।
আপনি কি এটা অর্জনের জন্য প্রস্তুত?
আপনার সম্পদ, সময় ও দক্ষতা কি যথেষ্ট?
উদাহরণ:
“প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটব” — এটি অর্জনযোগ্য।
📌 R — Relevant (প্রাসঙ্গিক)
লক্ষ্যটি আপনার জীবনের বড় উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।
এই লক্ষ্যটি কি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
এটি কি আমার ক্যারিয়ার/ব্যক্তিগত উন্নয়নের সাথে যুক্ত?
উদাহরণ:
“ওজন কমানো আমার সুস্থ জীবনযাপনের জন্য জরুরি।”
⏰ T — Time-bound (সময়সীমাবদ্ধ)
লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি কবে শুরু করবেন?
কখন শেষ করবেন?
কোন সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করতে চান?
উদাহরণ:
“আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমি ৫ কেজি ওজন কমাব।”
📌 SMART লক্ষ্য নির্ধারণের পূর্ণাঙ্গ উদাহরণ:
❌ সাধারণ লক্ষ্য: “আমি স্বাস্থ্যবান হতে চাই।”
✅ SMART লক্ষ্য: “আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ১ কেজি করে ওজন কমিয়ে ৫ কেজি কমাব, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে।”
🧭 Final Thought — শেষ কথা
SMART লক্ষ্য হল সাফল্যের দিকনির্দেশনা।
এটা শুধু স্বপ্ন নয়, বরং সেই স্বপ্নকে বাস্তবতায় পরিণত করার একটি পরিকল্পিত পথ।